অভয়ার দোষীদের আড়াল করতেই, এক বছর বাদে, জুনিয়র ডাক্তারের নামে কেস ও থানায় তলব।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২০শে আগস্ট বুধবার, ঠিক বিকেল সাড়ে তিনটায়, হেয়ার স্ট্রীট থানা ও বউবাজার থানার সামনে, ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর ফোরাম এর সিনিয়র ও জুনিয়র ডাক্তাররা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখালেন, এবং বললেন পুলিশ প্রশাসন ভয় পেয়ে আমাদের মুখ বন্ধ করার জন্য এক বছর বাদে মিথ্যা কেস দিয়ে থানায় ডাক করিয়েছে। এবং দোষীদের আরাল করার জন্য, কিন্তু আমাদের কন্ঠস্বর কোনোদিন বন্ধ করে রাখতে পারবেন না, আমাদের দিদির ন্যায় বিচার আদায় করে নেবো।
আজ হেয়ার স্ট্রীট থানায় ডেকে পাঠান, জুনিয়র ডক্টর অনিন্দ্য সুন্দর মন্ডল কে, আর বউ বাজার থানায় ডেকে পাঠান অঞ্জন মন্ডল কে। দুই জনেই আইনজীবী সাথে নিয়ে দুটি থানায় প্রবেশ করে,
বাইরে প্রায় ৬০- ৭০ জুনিয়র ডাক্তার পুলিশ উদ্দেশ্যে করে স্লোগান দিতে থাকে, সাথে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ডাক্তার পূর্ণ চন্দ্র গুইন , মানস গুমটা সহ বহু ডক্টর।
বিভিন্ন স্লোগান এর মধ্য দিয়ে প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেন ,আমরা ভয় পায় না, আমরা দিদির ন্যায় বিচারের দাবীতে রাস্তায় রয়েছি আর থাকবো , যতদিন না সত্য বিচার না পাবে দিদি , তার পরিবার, নির্লজ্জ পুলিশ অফিসার এক বছর হয়ে গেলো দোষীদের খুঁজে বার করে শান্তি দিতে পরে না ।।
আর এক বছর বাদে চোর খুনি, ধর্ষক দের ধরতে না পেরে , ডাক্তার দের ধরতে, এর মতো লজ্বা পশ্চিমবঙ্গে কী আছে, একটা কথা শুনে রাখুন মুখ্যমন্ত্রীর গোলামী খাটা পুলিশ অফিসারেরা, আপনার ঘরেও ছেলে মেয়ে আছে, আপনাদের কেও জবাব দেহী করতে হবে, আপনারাও ছাড়া পাবেন না ।
আপনারা যে নির্লজ্জ, আর মন্ত্রী উর্দি ধারী দাস , বোঝা যাচ্ছে, না হলে অভয়ার মা বাবা গায়ে হাত তুলেন, মেরে মাথা ফাটান, কারণ মুখ্যমন্ত্রী আর আপনারা ভয় পেয়েছেন, যে কোনো সময় রাতের ঘুম চলে যেতে পারে, সত্যিটা বেরিয়ে আসবে, তাই হঠাৎ আমাদের কন্ঠ রোদ করার জন্য এই নতুন চাল খেলেছেন, কিছু লাভ হবে না , আপনারা যত আইন দেখাবেন আমাদের কে ধরে আনবেন,আরো আন্দোলন জোরদার হবে, থানার সামনে আবার হাজার হাজার ডাক্তার জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করবে , আমাদের শির দাঁড়া আর মেরুদন্ড শক্ত আছে, ভয়ে ভেঙে পরে নি, তাই আবারো প্রশাসন কে সাবধান করে দিচ্ছি, এখনও সাবধান হন।
আজকের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, বেশিরভাগ পড়ুয়া ডাক্তার, প্রথম বর্ষের ও দ্বিতীয় বর্ষের । পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেন, এখন সময় আছে আসল দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিন, আমাদেরকে কতোজন কে কেশ দেবেন, আমরাও তৈরী,