মহিলা পরিচালিত দুর্গা পূজো কমিটির আহবানে, বাংলার দুর্গার পক্ষ থেকে প্রতিবাদ যাত্রা।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২৫ শে আগস্ট সোমবার, ঠিক বিকেল তিনটায়, গড়িয়াহাট মোড় থেকে রাসবিহারী মোড় পর্যন্ত, বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে, মহিলা পরিচালিত দুর্গাপূজো কমিটির আহবানে , বাংলার দুর্গার পক্ষ থেকে প্রতিবাদ যাত্রা শুরু করেন।। হাতে দুর্গার মূর্তি নিয়ে মহিলারা গড়িয়াহাট থেকে রাসবিহারী মোরে এসে এই প্রতিবাদ যাত্রা শেষ করেন। এই প্রতিবাদ যাত্রায় নেতৃত্ব দেন মাননীয়া মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, তারা একটা কথাই বলেন বাংলা ভাষাকে অপমান করতে দেব না,
এই প্রতিবাদ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, চৈতালি চট্টোপাধ্যায় সহ দূর্গা পূজা কমিটির মহিলা সদস্যরা, এই প্রতিবাদ পদযাত্রায় বিভিন্ন মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটি ছাড়াও প্রায় দেড়শও বেশি সদস্য পায়ে পা মেলা, একটি সুন্দর প্রশাসনের মধ্য দিয়ে এই পদযাত্রা শেষ হয়, এবং রাসবিহারী মরে এসে সাদা বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ শেষ করেন, প্রতিটি বেলুনের মধ্যে একটাই বার্তা লেখা ছিল, ব্যঞ্জনবর্ণ ও স্বরবর্ণ অ-আ-ক-গ ঘ, ই ,ঈ লেখা।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে, মাননীয়া মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য বলেন, আজ আমরা সাদা বেলুনে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ লিখে উড়ালাম, যে স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্য দিয়ে আমরা জন্মানোর পরেই, প্রথম হাতে খড়ি দিঢয়ে থকি এবং যা পড়ে আমরা বড় হই, তাই যারা বাংলা ভাষাকে বাদ দিতে চাইছে, যেন এই বেলুন উড়ে সেই সকল মানুষদের কাছে গিয়ে পৌঁছায়, এটা নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের বাংলা, তাই বাংলাকে কোনোভাবেই অপমানিত হতে দেব না আমরা প্রতিবাদ করছি করব, এখানে অন্য কোন ভাষার সৃষ্টি হবে না।
যে বাংলায় ইউনেস্কো স্বীকৃতি ফিরিয়ে এনেছে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগে, বাংলায় দুর্গাপুজো নিয়ে অনেক কথা বলেছিল, তাই বিশ্ববন্দিত দুর্গোৎসব বাঙ্গালীদের কাছে এক বড় উৎসব, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ও তার অবদানে বাঙালি অনুপ্রাণিত, তিনি যেভাবে বাঙালিদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন পাশে থাকার চেষ্টা করছেন, তাই আজ আমরা দুর্গা প্রতিমাকে হাতে নিয়ে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানালাম, বাংলা ভাষা মোদের গর্ব, বাংলা ভাষা ঋষি মণিদের সৃষ্টি, যে দেশে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ,নেতাজী সুভাষ চন্দ্র, ক্ষুদিরাম জন্মেছেন, যাদের লেখায় আমরা অভিভূত, আর তাদের কি অপমান করে বাংলা ভাষাকে পরিবর্তন করতে চাইছে, আমরা হতে দেব না, দেখতে চাই কিভাবে বাংলা ভাষাকে পাল্টাতে পারে।