ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিউনিটি হেলথ গাইড ইউনিয়ন এবং অল বেঙ্গল এভিডি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে- নবান্ন অভিযান ও ডেপুটেশন দিলেন।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২৯ শে আগস্ট শুক্রবার, ঠিক দুপুর বারোটায়, কলকাতা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে, এ আই ইউ টি ইউ সি অনুমোদিত, ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিউনিটি হেলথ গাইড এবং অল বেঙ্গল এভিডি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে, বিভিন্ন দাবী নিয়ে নবান্ন অভিযান ও স্বাস্থ্য দপ্তরে ডেপুটেশন দিলেন।
আজ নবান্ন অভিযানে নেতৃত্ব দেন, অল বেঙ্গল এভিডি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সমরেন্দ্র নাথ মাঝী, এবং এ আই ইউ টি ইউ সি এর রাজ্য সভাপতি অশোক দাস মহাশয় সহ অন্যান্যরা।
সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে দুপুর ১২ টায় কয়েকশো, সিএইচ জি, টি ডি এবং এ ভি ডি এর কর্মীরা জমায়েত হয়ে, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল করে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে ,নবান্ন অভিযানের উদ্দেশ্যে ধর্মতলা হয়ে রানী রাসমণি রোডের দিকে এগোলে, পুলিশ প্রশাসনের অফিসারেরা রানী রাসমণি রোদের সংযোগস্থলে ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকে দেন। আটকে দেওয়ার ফলে কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন, তারা বলেন কেন পুলিশ আমাদের আটকে দিলেন , আমরা তো শান্তিপূর্ণ মিছিল করে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন ও নবান্ন অভিযান করছি। আমাদের দাবিদাওয়া গুলো জানাতে চাই। আমরা এভিডি গণ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বি এম ও এইচ এর কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী।
আমরা গ্রামীণ এলাকায় যেখানে ইমু নাইজেশন ক্যাম্প হয় সেখানে কুলচেন থেকে ভ্যাকসিন বক্স নিয়ে ইমুলাইজেসন ক্যাম্পে পৌঁছে দিই, এবং কাজ শেষ হলে পুনরায় কুলচেনে নিয়ে গিয়ে জমা দিই, এই কাজটি করতে আমাদেরকে সকাল আটটায় বাড়ি থেকে বের হতে হয় এবং ছটা বেজে যায় বাড়ি ফিরতে, এর জন্য আমরা মজুরি হিসাবে পাই ৯০ টাকা, তাহার মধ্যে একদিনে যাতায়াত বাবদ ৪০ থেকে ৬০ টাকা খরচ হয়ে যায়। আর কাজ পায় মাসে মাত্র চার দিন, এই যৎ সামান্য টাকা ৮ থেকে ১০ মাস পড়ে থাকে বাকি, এমনকি প্রত্যেকে হিসাব রাখাও কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যান্য কাজে কর্মীরা যে শাড়ি পায় আমরা তাও পাই না, এছাড়া যখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ছিল না, আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিষেবা দিয়েছি, নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে, আজ আমাদের কারো বয়স ৬৫ , কারো ৭০, কারো ৭৫ বছর হয়ে গেছে। অথচ সরকার আমাদের কোন ব্যবস্থাই করেনি।। আমরা বারবার আবেদন জানিয়েছি। তাই আজ আমরা এই বয়সে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের দাবী যাতে সরকার মেনে নেন।
আমাদের দাবী গুলি হল—-
এভিডি দের স্বাস্থ্য দপ্তরে সারা মাস কাজের ব্যবস্থা করতে হবে এবং মাসিক বেতন ১২ হাজার টাকা দিতে হবে।
আমাদের এই মুহূর্তে যে ৯০ টাকা দৈনিক মজুরি আছে, সেটি ৫০০ টাকা করতে হবে।
এন এইচ এম এর অর্ডার অনুযায়ী এভিডি দের পারিশ্রমিকের টাকা প্রদান করতে হবে।
পুজোর আগে বোনাস প্রদান করতে হবে এবং সেই সাথে পিএফ, পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
কোভিড 19 সময়কালে ভ্যাকসিন ক্যারিয়ারের কাজ, যে সমস্ত কর্মী করেছিল, সেই সমস্ত কর্মীদের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী 550 টাকা হারে করোনা কালে ৮ মাসের বকেয়া সহ এ পর্যন্ত যত বকেয়া আছে তা অবিলম্বে প্রদান করতে হবে।
অবসরকালে এককালীন ভাতা 5 লক্ষ টাকা দিতে হবে।
যাতায়াতের জন্য সাইকেল, ডিউটি পোশাক ও পরিচয় পত্র প্রদান করতে হবে।
আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এইটুকু আবেদন করছি। আশা করি বিবেচনা সহিত দাবী গুলি পূরণ করবেন। কারণ আমাদের সংসারের বাচ্চাদের প্রতিপালন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে, এবং সংসার প্রতি পালনের জন্য মিনিমাম বেতনের ব্যবস্থা করে দেবেন।