সাভার সেনা শপিং কমপ্লেক্সে হামলা।
সাভার প্রতিনিধিঃ
সাভার সেনা শপিং কমপ্লেক্স একটি সুশৃংখল মার্কেট হিসাবে সারা দেশে সমাদৃত এবং সুনামের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে। কিন্তু অনাকাংখীতভাবে গতকাল ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ রাত ৮.৩০ঘটিকায়
কুহিনুর সংলগ্ন নিটা’র কয়েকজন ছাত্রের সাথে কথা কাটাকাটি থেকে সেনা মার্কেটের ‘একটা’ দোকান কর্মচারীদের সাথে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। তার ফলশ্রুতিতে ছাত্ররা ফোন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ তাদের বন্ধুদেরকে। তারপর পুরো মার্কেটের সকল মেইন গেইট, মার্কেট অফিস, সিকিউরিটি অফিস সহ পুরো মার্কেট তারা দখলে নিয়ে মারধর করেছে সিকিউরিটি ও ব্যবসায়ীদেরকে। রাত ১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত পুরো মার্কেট জিম্মি করে তারা তান্ডব চালিয়েছে.! ছাত্ররা মার্কেটের সকল গেইট দিয়ে কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দিচ্ছিল না। কাষ্টমার ও ব্যবসায়ীগণ আতংকিত হয়ে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে সহযোগীতা চায়। ক্যান্ট বোর্ড অফিসার বৃন্দ, মার্কেট ব্যবসায়ী প্রতিনিধি বৃন্দ, সাভার ও আশুলিয়া থানার পুলিশ অফিসারগণ ছাত্রদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেও বুঝাতে ব্যর্থ হয় এবং পুলিশের সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করে।
অতপর ব্যবসায়ীগণ ছাত্রদের অচরণে আতংকিত হয়ে পড়ে এবং মার্কেট ভাংচুর, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগের আশংকায় ক্যান্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষকে সেনাবাহিনীর সহযোগীতার জন্য অনুরোধ করেন। অতপর রাত ১০.৪০ এর দিকে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করলে’ ছাত্রগণ সেনাবাহিনীর সদস্যগণের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এমনকি গালিগালাজ করে। এমন পরিস্থিতিতে সেনা সদস্যগণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মৃদু লাঠিচার্জ করে করে এবং তারা আসলে ছাত্র কি না তা যাচাই করতে তাদের ছাত্রত্বের আইডি কার্ড দেখিয়ে চলে যাওয়া মর্মে কয়েকজনকে আটক করে। মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর সন্নিকটে বিধায় জাতীয় স্মৃতিসৌধের অতি সন্নিকটে সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত সেনা শপিং কমপ্লেক্সে এমন ন্যক্কারজনক হামলা’ আসলে ছাত্রত্বের পিছনে অন্য কোন দূরভীসন্ধি আছে কি না’ তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছে সচেতন মহল।
আর দেশের এমন পরিস্থিতিতে সত্যিকারের ছাত্রদের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে দেশবাসী।