যমুনা সারকারখানা বন্ধের ১৩ মাস পর পেল গ্যাস সংযোগ
সরিষাবাড়ী ( জামালপুর) প্রতিনিধি
তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা ১৩ মাস বন্ধের পর সারকারখানার প্ল্যান্টে গ্যাস সংয্গো দিয়েছে তিতাস কতৃপক্ষ। জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সারকারখানায় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন আন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাস লাইনে গ্যাস সংযোগ দিয়েছেন। এ গ্যাস ইউরিয়া প্ল্যান্টে ্সরবরাহ করা হয়েছে। উৃৎপাদন প্রক্রিয়ায় যেতে কারখানার কোন যান্ত্রীক ত্রুটি দেখা না দিলে ১০/১২ দিন সময় লাগতে পারে বলে যমুনা সার কারখানার উপ প্রধান প্রকৌশলী (রসায়ন) ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সারকারখানায় গ্যাস সংযোগ পাওয়ায় এ সারকারখানর উৎপাদনের সাথে জীবন জীবিকায় জডিত কারখানার কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক, ডিলার, পরিবহন মালিক , শ্রমিক ও স্থানীয় ব্যাবসায়ী এবং এলাকাবাসী’র মধ্যে উৎফুল্ল ও আমেজ বইছে।
জেএফসিএল সুত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে তারাকান্দি যমুনা সারকারখানা বাণিজ্যাক ভাবে ইউরিয়া সার উৎপাদন শুরু করে।এটি বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) অধীন দৈনিক ১ হাজার ৭০০’শ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা। সার কারখানার নিরবিচ্ছিন্ন সার উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন হয়। গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন ত্রুটির কারনে উৎপাদন কমে সময়ে সময়ে ১ হাজার ২০০’শ থেকে ১হাজার৪’শ মেঃ টন ইউরিয়া উৎপাদন হয়। এ উৎপাদিত সার যমুনা সারকারখানা থেকে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলাসহ মোট ২১ জেলায় সার সরবরাহ করা হয়। এটি কৃষক দের নিকট অনান্য সারের চাইতে চাহিদাও অনেক।
আরোও জানা গেছে, সম্প্রতি বিসিআইসি’র সিদ্ধান্তে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানিতে সার উৎপাদন নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে যমুনা সারকারখানায় গত ২০২৪ ইং সালের ১৫ জানুয়ারী থেকে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন আন্ড ডিস্ট্রিবিউশর কোম্পানি। তারপর থেকেই যমুনাসারকারখানার ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ থাকে।
এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ স¤পাদক মোর্শেদ তালুকদার যৌথ ভাব্ েবলেন, যমুনা সারকারখানায় গ্যাস সংযোগ দেওয়ায় এ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ খুশী হয়েছে। আমরাও গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদজ্ঞাপন করছি।
তারা আরও বলেন, সারকারখানায় গ্যাস সংযোগ দেওয়ায় সার আমদানি নির্ভরতা থেকে সরে দেশীয় শিল্পকে সচল রাখলে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। এতে বাইরে থেকে সার আনতে সরকারের ভর্তুকি ভার বহন করতে হবে না। সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হবে না বলে জানান তারা।
জানতে চাইলে যমুনাসার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন বলেন, সারকারখানার প্লান্টে গ্যাস সংযোগ পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, ইউরিয়া সার উৎপাদনে যেতে ১০/১২ দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।