বসন্ত উৎসব ও দোলা উৎসবকে ঘিরে একদিকে বিক্রেতারা পসরা সাজিয়ে বসে, অন্যদিকে শিল্পীদের ব্যাস্ততা।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা,পশ্চিমবঙ্গ:
আজ ১২ই মার্চ বুধবার, শুরু হয়ে গেছে চতুর্দিকে বসন্ত উৎসবের আয়োজন।, সারা দেশে পালিত হচ্ছে ছোট বড় বসন্ত উৎসব। বোলপুর, শান্তিনিকেতন ,রবীন্দ্রভারতী, মায়াপুর নবদ্বীপ ধাম, হবেতেই শুরু হয়ে গেছে বসন্ত ও দোল উৎসব, দূর দুরান্ত থেকে ভক্তরা ভিড় জমছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।
অন্যদিকে বসন্ত উৎসব ও দোলযাত্রাকে ঘিরে বিভিন্ন মার্কেটে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা।, এমনকি বিভিন্ন কুমারটুলীতে ব্যস্ততার দেখা গেছে শিল্পীদের মধ্যে। গোপাল ঠাকুর ও অন্নপূর্ণা ঠাকুর তৈরীর কাজে। কোথাও কোথাও ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে এসেছেন,
বেশ কয়েকটি কুমারটুলীতে বড় বড় গোপাল ঠাকুর তৈরি করতে দেখা গেছে। জানা গেছে অন্যান্য পুজোর মত গোপাল পুজো বড় হয়ে উঠেছে। তবে কুমারটুলী পাড়াও কোন অংশে কম নয়, তাদেরও কুমারটুলীতে বড় গোপাল ঠাকুর পুজো হয়। প্যান্ডেল থেকে শুরু করে সব রকমের প্রস্তুতি চলছে কুমারটুলীতে।
রাত পোহালেই শেষ দিনে বসন্ত উৎসবে মেতে উঠবে সবাই, বেজে উঠবে পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্রনাথের গান, আর রঙিন আবীরে সৌন্দর্যের শোভা পাবে একে অপরের গাল থেকে মাথা, তারপরেই দোল উৎসবে সবাই মাতোয়ারা হয়ে উঠবে।, রংবেরঙের আবির থেকে শুরু করে রঙের জলে ভেসে উঠবে সারা শরীর।
তাই চোখে পড়ল বিভিন্ন মার্কেটে রংবেরঙের আবীর থেকে শুরু করে, মুখোশ, চুল, বিভিন্ন কাজ করা গেঞ্জি, বেলুন ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে বসে বিক্রেতারা, তাহারা জানান এখনো পর্যন্ত কিছু কিছু ছেলে মেয়ে আসছে রঙিন আবীর কিনতে, কিন্তু সেই ভাবে এখনো জমে ওঠেনি আমাদের বেচাকেনা, তবে আশা করছি আগামী কাল থেকে আমাদের বিক্রি বাড়বে, ক্রেতারা কিনতে আসবেন, কারণ দোল উৎসব মানেই সব ধর্মের মানুষের উৎসব, নানা রঙে রঙিন হয়ে ওঠা, একে অপরকে মাখিয়ে এই দিনটি পালন করবেন।
তবে জানা যায় আস্তে আস্তে কেমিক্যাল রং প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, যাহাতে কোনরকম ক্ষতি না হয়। আয়ুর্বেদিক রং আস্তে আস্তে বারছে, ফলে ক্রেতারাও কিনতে ভয় পাচ্ছে না তাহাদের বাচ্চাদের দেওয়ার জন্য। তবে বিক্রেতারা জানালেন, আবিরুল রং এর দাম এতটাই বেড়ে গেছে, যেখানে মানুষ 500 টাকার রং কিন্তু সেখানে ২০০ আড়াইশো টাকার রং কিনছে, রং কেনার সাথে সাথে, বিভিন্ন রকমের মুখোশ কিনছেন ক্রেতারা, বাচ্চাদের জন্য।।