১৮ তম বর্ষে পদার্পণ করলো, বরানগর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বসন্ত উৎসব ও বসে আঁকো প্রতিযোগিতা।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস ,কলকাতা,পশ্চিমবঙ্গ:
আজ ১৬ই মার্চ শনিবার, ঠিক সকাল দশটায়, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীমতি ডালিয়া মুখার্জির আহবানে, বরানগর মল্লিক কলোনী দুর্গোৎসব প্রাঙ্গনে, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা , নৃত্য প্রতিযোগিতা এবং প্রবীনদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এই বসন্ত উৎসব ১৮ তম বর্ষে পদার্পণ করলো।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীমতি ডালিয়া মুখার্জি জানান ২০০৮ সালে প্রথম বসন্ত উৎসব শুরু হয় বরানগরে।১৮ তম বর্ষে তিনি কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও নৃত্য প্রতিযোগিতা,
বসে আঁকো প্রতিযোগিতা চারটি বিভাগে ভাগ করেছেন ক খ গ ঘ, প্রথম বিভাগে ১২ জন দ্বিতীয় বিভাগে 20 জন তৃতীয় বিভাগে 28 জন এবং চতুর্থ বিভাগে ২৫ জন অংশগ্রহণ করেছেন, পিত্ত প্রতিযোগিতায় দুটি গ্রুপে অংশগ্রহণ করেছেন ক ও খ।
প্রত্যেক বিভাগেই অংশগ্রহণকারীর বয়স তিন বছর থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত রয়েছে, এবং এই সকল প্রতিযোগিতায় যাহারা বিজয়ী হবেন প্রথম, দ্বিতীয় ,তৃতীয়, সেই সকল বিজয়ীদের হাতে বাইশে মার্চ সম্মান তুলে দেবেন এই উদ্যোগের কর্ণধার ও বিশিষ্ট অতিথি বর্গরা। যে সকল অতিথীরা উপস্থিত ছিলেন, তাহাদের উত্তরীয় ও ব্যাচ পড়িয়ে এবং হাতে স্মারক দিয়ে সম্মানিত করেন।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাই অন্যান্য অনুষ্ঠানটি পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।, কোনোভাবে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধে না ঘটে, এই অনুষ্ঠানে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সকল তৃণমূল কর্মীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন এখন প্রতিটি ওয়ার্ডেই বসন্ত উৎসব পালিত হচ্ছে।
এই অনুষ্ঠানে বিচারকদের আসনে ছিলেন সঞ্জিত দাস, সোমা ব্যানার্জি, রুপা ভট্টাচার্য,, তারক দত্ত এবং সঞ্চালনায় ছিলেন বৈশালী বাসু। উপস্থিত ছিলেন বরানগর পৌরসভার সকল তৃণমূল সদস্যবৃন্দ, শুধু তাই নয় এই অনুষ্ঠানে উৎসাহিত দেন এলাকার মহিলারা।
অঙ্কন প্রতিযোগিতায় ৮৫ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেন এবং ৭০ জন নৃত্যশিল্পী অংশগ্রহণ করেন।,
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ডালিয়া মুখার্জি বলেন, আমি কৃতজ্ঞ, এলাকার যে সকল মায়েরা তাদের ছেলেদের এইভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নেই আগ্রহ প্রকাশ করিয়েছেন, আমি গর্বিত সকলে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য, আগামী দিনে যাতে আরো বড় করে বসন্ত উৎসব করা যায় তার প্রচেষ্টা করব। এলাকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে।