পশ্চিমবঙ্গ রেজিস্টার্ড নার্স ২০১৯-২০২২, ২০২০-২০২৩. বিভিন্ন দাবী নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের ডেপুটেশন দিবেন।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ:
আজ ২৫ শে মার্চ মঙ্গলবার, ঠিক সকাল দশটা থেকে, রানী রাসমণি রোডের সংযোগস্থলে, পশ্চিমবঙ্গ রেজিস্টার্ড নার্সরা, বিভিন্ন দাবী নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে মিস্টার নারায়ন স্বরূপ নিগমের কাছে ডেপুটেশন দিলেন ও সমাবেশ করলেন।
উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন হসপিটালে কন্ট্রাকচুয়াল নার্স থেকে শুরু করে, ক্যাজুয়াল নার্সরা, এবং অন্যান্য হসপিটাল ইউনিয়নের ও অভয়া আন্দোলনের ডাক্তাররা।
উপস্থিত ছিলেন নার্স ও ডাক্তারদের মধ্যে, ডক্টর বিপ্লব চন্দ্র, ডক্টর সৌমেন, ভাস্বতী মুখার্জী, পার্বতী পাল ,বিভা মাইতি, তুষা দাস ,মৃদুল সরকার, পায়েল কুনার, সুদীপ্তা ,শ্যামলী, হাসিয়া মল্লিক ,অর্ঘ বাসু সহ অন্যান্যরা।
তাহারা বেশ কয়েকটি দাবী রাখেন, দাবীগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পূরণ করেন,
আমাদের দাবী।
অতি দ্রুত নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।
নার্স নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
নার্সদের ভ্যাকেন্সি বাড়াতে হবে।
ওবিসি মামলার অজুহাতে নিয়োগ আটকে রাখলে চলবে না।
নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে।
জেনারেল ওয়ার্ডে প্রতি শিফটে ১:৫, ক্রিটিক্যাল ওয়ার্ডে প্রতি শিফটে ১:১ অনুপাতে ব্লক থেকে টার্সিয়ারী হাসপাতালে নার্স নিয়োগ করতে হবে।
কন্ট্রাকচুয়াল এন্ড স্টাফ নার্সের পরিবর্তে স্থায়ী পদে নিয়োগ করতে হবে।
এই দাবিগুলি যতক্ষণ না পূর্ণ হচ্ছে তারা আন্দোলন চালাবে, শুধু তাই নয়, তারা মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন, যদি আমাদের দাবীগুলি বিবেচনা না করেন এবং ডেপুটেশন না নেন, তাহলে আমরা এই মঞ্চ ছেড়ে যাব না।
তাহারা আরো বলেন আমরা তিন তিনটে বছর বহু কষ্ট করে পড়াশুনা করে এই জায়গায় পৌঁছেছি। আমাদেরকে দিয়ে বিভিন্নভাবে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে কাজ করিয়েছেন, আমাদেরকে বহু কষ্ট করতে হয়েছে, শুধু তাই নয়, এমনকি আমাদেরকে স্টুডেন্ট লোন নিয়ে বা কেউ কেউ বাড়ি জমি বিক্রি করে পড়াশোনা করেছে, এবার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে বিবেচনা করতে হবে, যাতে আমাদের স্থায়ী কাজ হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আর ক্যাজুয়াল না, আমরা চাই স্থায়ী চাকরি।
এর সাথে সাথে সকল বক্তারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে সকল নার্সদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকার যদি মেনে না নেয় এবং আমাদের স্থায়ী পদে নিয়ম না করে, আমরা কেউ আন্দোলন থেকে পিছুপা হবো না আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করে নেব, আর জি করের আমাদের দিদির আন্দোলন থেকে আমরা এই আন্দোলন করতে শিখেছি, কেউ পিছুপা হবো না, স্থায়ী চাকরি না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবো, আমাদের পরিবার আমাদের কে পড়াতে গিয়ে বিভিন্ন দেনা তে দিন গুনছেন।