ল কলেজের ছাত্রীর ন্যায় বিচারের প্রতিবাদে, গড়িয়াহাট মোড়ে র্যালি করতে গিয়ে, সুকান্ত মজুমদার গ্রেপ্তার।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ২৮ শে জুন শনিবার, ঠিক দুপুর তিনটায়, গড়িয়াহাট মোড়ে, পশ্চিমবঙ্গ ভারতীয় জনতা পার্টি একটি প্রতিবাদ র্যালির আয়োজন করা হয়, ল কলেজের ছাত্রী গণধর্ষণের ন্যায় বিচারের জন্য।
এই র্যালিকে কেন্দ্র করে, অনেক আগে থেকেই গড়িয়াহাট মোড়ে, পুলিশ মোতায়েন করা হয়, এমনকি স্টিয়ারিং গ্যাস, সেল , লাঠিধারী পুলিশ পর্যন্ত মোতাইন ছিল, শুধু তাই নয় বালিগঞ্জ ব্রীজের সামনে প্রচুর Raf মতায়েনো রাখা হয়। যাহাতে কোনোভাবেই ল কলেজের দিকে যেতে না পারেন এবং কসবা থানায়,
দুপুর আড়াইটা নাগাদ, একে যখন বিজেপি কর্মীরা, গড়িয়াহাট মোড়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়েছিল, শাসনের অফিসাররা দেখতে পেয়ে তাদেরকে ধাওয়া করেন, মিনিট কয়েক বাদে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এসে হাজির হন, সুকান্ত মজুমদারকে আসতে দেখে বিজেপির সদস্যরা এক জায়গায় এসে হাজির হন। সাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখার পর, যখন গড়িয়াহাট চার রাস্তার মোড়ের দিকে এগোতে থাকেন, প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যারিকের দিয়ে আটকে দেয়া হয়, কিন্তু কোন বাধায় তাদেরকে আটকাতে পারেনি ব্যারিকেট ভেঙে যখন গড়িয়াহাট মোড়ে প্রতিবাদ শুরু করেন, সাথে সাথে চতুর্দিক থেকে পুলিশ পোস্ট তাদেরকে ঘিরে ফেলে, এবং ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে যায়, সারা গড়িয়াহাটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়,
পুলিশ প্রশাসনের অফিসারেরা এবং ফোর্স, একে একে জোর করে বিজেপি সদস্যদের গ্রেফতার করতে থাকেন এবং ভ্যানে তোলেন, গ্রেফতার হন রাজ্য সভাপতি ও মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চক্রবর্তী, ত মগ্ন ঘোষ, অনুপম ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা এমনকি বেশকিছু মহিলারাও গ্রেফতার হন, প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জনকে গ্রেফতার করে লাল বাজারে নিয়ে যান,
তাহা তো থেমে থাকেনি বিজেপি সদস্যরা, কিছুক্ষণ বাদে বাদে ই বিজেপি সদস্যরা বিভিন্ন দিক দিয়ে এসে গাড়ি-ঘোড়া আটকে দেন এমনকি ব্যারিকেড রাস্তার মধ্যে ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেন।, সাথে সাথে তাদের পিছনে পিছনে ছুটতে থাকে পুলিশ ফোর্স এবং তাদেরকেই একে একে গ্রেফতার করতে থাকেন।
তাদের দাবী অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে, একটা মেয়েকে ইউনিয়ন রুমে ডেকে, কিভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে, মনে করিয়ে দিল আর জি করের ঘটনা, এক বছর জেতে যেতেই পুনরাবৃত্তি ঘটল ল কলেজে, মেয়েদের সুরক্ষা বলে কিছু নেই, মুখ্যমন্ত্রী সুরক্ষা দিতে পারছেন না, অথচ প্রশাসনের লোক দোষীদের শাস্তি না দিতে পেরে, কারা দোষীদের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছেন তাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছেন। তাহারা আরো বলেন একটা মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারছে না এর চেয়ে লজ্জা করার কি আছে দেশটাকে আস্তে আস্তে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলছে। আজ পরিবারের লোকেরা মেয়েকে কলেজে পাঠিয়ে সুরক্ষা পাচ্ছে না। চিন্তায় ও ভয়ে দিন গুনছেন। তাই আমাদের দাবি ও প্রতিবাদ অবিলম্বে তিন অভিযুক্তকে শাস্তি দিতে হবে। যতদিন না শাস্তি পাবে, আমাদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলতে থাকবে, আজ স্কুল কলেজ সরকারি ডিপার্টমেন্টে সুরক্ষা বলে কিছু নায়, বারবার এটাই প্রমাণ করে দিচ্ছে। তাই আজ প্রতিবাদে মহিলারাও ধিক্কার জানাচ্ছেন। পরিবারের লোকেরা রাস্তায় নামছেন। একজন রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী হয়ে মহিলা সুরক্ষায় বিফল।