১৭১ তম হুল মাহা স্মরনে, সাত দফা দাবী নিয়ে বিশাল পদযাত্রা ও সভা করলেন।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ,
আজ ৩০ শে জুন সোমবার, সকাল ১১ টায় কলকাতার কলেজ স্কোয়ারে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা জমায়েত হন, সকাল থেকেই প্রচন্ড বৃষ্টি হওয়ার ফলে হতে দেরি হয়, মিছিল একটা নাগাদ শুরু করেন কলেজ স্কোয়ার থেকে।
ভারত জাকাত সান্তার পাঠুওয়া গাঁওতা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি ও জুওয়ান মাডওয়া আয়োজিত, ১৭১ তম হুল মাহা স্মরনে সাত দফা দাবীকে সামনে রেখে, কয়েকশো আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েরা কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল করে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেলে উপস্থিত হন এবং একটি বিক্ষোভ সভা করেন। প্রচন্ড পরিমাণে জল বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও তাদের মিছিল কিন্তু এতোটুকু থেমে থাকেনি, বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে তারা একটু করে এগিয়ে আসেন ধর্মতলায়। পার্টি ছিল কৃপণ, বল্লম তীর ধনুক , এবং মাদলের তালে তালে বিক্ষোভ করেন।
তাহাদের সাত দফা দাবীর মধ্যে :-
৩০ শে জুন কে” বিপ্লব দিবস” হিসাবে ঘোষণা করতে হবে।
সিদু কানু ডাহার – ধর্মতলাতে সরকারী উদ্যোগে সিদু মূর্মু ও কানু মুর্মূর মূর্তি পূর্ণবয়ব মূর্তি অবিলম্বে স্থাপন করতে হবে।
বাবা তিলকা মুর্মূ ( ১৭৮৪ ) কে ভারতবর্ষের প্রথম শহীদ ঘোষণা করতে হবে।
৩০ শে জুন দিনটিকে পালনীয় ছুটি , রাজ্য সরকারের ছুটির লিস্ট অনুযায়ী হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। দাবিগুলি ছাড়াও তারা অন্যান্য দাবি গুলি রাখেন।
মিছিলে একটা স্লোগান দেন, আর নয় এবার আমাদের লড়ে অধিকার আদায় করে নিতে হবে। যাহারা শহীদ হয়েছেন তাদের সম্মানার্থে যদি রাজ্য সরকার কিছু না করে, আমরা আদায় করে নেব আরো বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে, আর আমরা পিছিয়ে থাকব না।
এই বৃষ্টির মধ্যেও প্রশাসনের অফিসার থেকে শুরু করে অন্যান্য আধিকারিকরা ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং এ হাতে হাত ধরে ব্যারিকেড করে রাখেন। যাহাতে কোনো রকম গন্ডগোল না হয়।